১২:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজীব মাহমুদের মৃত্যু নয় এটি একটি নির্মম কর্পোরেট হত্যাকাণ্ড

 

আজ প্রাক্তন গ্রামীণফোন কর্মীরা জড়ো হয়েছিলেন এক শোকাবহ, প্রতিবাদী এবং দৃঢ় প্রত্যয়ের কর্মসূচিতে — আমাদের সহযোদ্ধা রাজীব মাহমুদের মৃত্যুর প্রতিবাদ জানাতে এবং তাঁর প্রতি সম্মান জানাতে।
রাজীব মাহমুদের মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল না। এটি ছিল একটি পরিকল্পিত কর্পোরেট হত্যাকাণ্ড — যার জন্য সরাসরি দায়ী গ্রামীণফোন ম্যানেজমেন্ট।
১৫ বছর ধরে তাঁর প্রাপ্য ৫% পাওনা আটকে রেখে তাঁকে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
শেষ মুহূর্তেও তিনি আর্তনাদ করেছিলেন:
“আমার টাকা দাও — ভাত না, ওষুধ কিনে খেতে চাই।”
কিন্তু গ্রামীণফোন তাঁর এই প্রার্থনাও উপেক্ষা করেছে।

প্রোগ্রামের নাম ছিল: “গ্রামীণফোন” আজ একটি

ঘৃণিত শব্দ স্লোগান: “পাওনা টাকা দে – ভাত না ওষুধ কিনে খাব!”

কালো পোশাকে, মাথায় কালো ব্যান্ড পরে, কর্মীরা রাজীব ভাইয়ের প্রতিকৃতি ও ব্যানার হাতে দাঁড়িয়েছিলেন যেন এক প্রতীকী শবযাত্রা — শুধু একটি মানুষের নয়, বরং ন্যায়বিচারের মৃত্যুর।

বক্তব্য রাখেন:
আবু সাদাত মোঃ শোয়েব, আহ্বায়ক, ঘোষণা দেন:
“৩০ জুন ২০২৫-এর মধ্যে গ্রামীণফোন সমস্যার সমাধান না করলে, আরও কঠোর দেশব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। আমরা পিছপা হব না।”

মনোয়ার পারভেজ , মোবাশ্বের আহসান  ও আদিবা জেরিন  রাজীব ভাইয়ের জীবনের সংগ্রাম, দুঃখ ও মৃত্যু নিয়ে আবেগঘন বক্তব্য রাখেন।

সাদিয়া আফরিন  আবৃত্তি করেন মাকসুদা খানম   (টরন্টো) রচিত এক হৃদয়বিদারক কবিতা, যা শুনে অনেকে চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি।

এটি শুধুমাত্র একটি প্রতিবাদ কর্মসূচি ছিল না — এটি ছিল মানবতার প্রতি একটি চিৎকার, ন্যায়বিচারের জন্য আহ্বান, এবং রাজীব মাহমুদের মৃত্যুর জন্য জবাবদিহি চাওয়া।

আমরা সংবাদকর্মী, সুশীল সমাজ ও বিবেকবান মানুষের প্রতি আহ্বান জানাই — সত্য প্রকাশ করুন। প্রতিবাদ করুন। পাশে দাঁড়ান। আর যেন কোনো রাজীবকে এইভাবে মরতে না হয়।
১৫ বছরের অবিচার — আর না!

জনপ্রিয় খবর

রাজীব মাহমুদের মৃত্যু নয় এটি একটি নির্মম কর্পোরেট হত্যাকাণ্ড

রাজীব মাহমুদের মৃত্যু নয় এটি একটি নির্মম কর্পোরেট হত্যাকাণ্ড

সর্বশেষ আপডেট : ০৪:৫৭:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫

 

আজ প্রাক্তন গ্রামীণফোন কর্মীরা জড়ো হয়েছিলেন এক শোকাবহ, প্রতিবাদী এবং দৃঢ় প্রত্যয়ের কর্মসূচিতে — আমাদের সহযোদ্ধা রাজীব মাহমুদের মৃত্যুর প্রতিবাদ জানাতে এবং তাঁর প্রতি সম্মান জানাতে।
রাজীব মাহমুদের মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল না। এটি ছিল একটি পরিকল্পিত কর্পোরেট হত্যাকাণ্ড — যার জন্য সরাসরি দায়ী গ্রামীণফোন ম্যানেজমেন্ট।
১৫ বছর ধরে তাঁর প্রাপ্য ৫% পাওনা আটকে রেখে তাঁকে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
শেষ মুহূর্তেও তিনি আর্তনাদ করেছিলেন:
“আমার টাকা দাও — ভাত না, ওষুধ কিনে খেতে চাই।”
কিন্তু গ্রামীণফোন তাঁর এই প্রার্থনাও উপেক্ষা করেছে।

প্রোগ্রামের নাম ছিল: “গ্রামীণফোন” আজ একটি

ঘৃণিত শব্দ স্লোগান: “পাওনা টাকা দে – ভাত না ওষুধ কিনে খাব!”

কালো পোশাকে, মাথায় কালো ব্যান্ড পরে, কর্মীরা রাজীব ভাইয়ের প্রতিকৃতি ও ব্যানার হাতে দাঁড়িয়েছিলেন যেন এক প্রতীকী শবযাত্রা — শুধু একটি মানুষের নয়, বরং ন্যায়বিচারের মৃত্যুর।

বক্তব্য রাখেন:
আবু সাদাত মোঃ শোয়েব, আহ্বায়ক, ঘোষণা দেন:
“৩০ জুন ২০২৫-এর মধ্যে গ্রামীণফোন সমস্যার সমাধান না করলে, আরও কঠোর দেশব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। আমরা পিছপা হব না।”

মনোয়ার পারভেজ , মোবাশ্বের আহসান  ও আদিবা জেরিন  রাজীব ভাইয়ের জীবনের সংগ্রাম, দুঃখ ও মৃত্যু নিয়ে আবেগঘন বক্তব্য রাখেন।

সাদিয়া আফরিন  আবৃত্তি করেন মাকসুদা খানম   (টরন্টো) রচিত এক হৃদয়বিদারক কবিতা, যা শুনে অনেকে চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি।

এটি শুধুমাত্র একটি প্রতিবাদ কর্মসূচি ছিল না — এটি ছিল মানবতার প্রতি একটি চিৎকার, ন্যায়বিচারের জন্য আহ্বান, এবং রাজীব মাহমুদের মৃত্যুর জন্য জবাবদিহি চাওয়া।

আমরা সংবাদকর্মী, সুশীল সমাজ ও বিবেকবান মানুষের প্রতি আহ্বান জানাই — সত্য প্রকাশ করুন। প্রতিবাদ করুন। পাশে দাঁড়ান। আর যেন কোনো রাজীবকে এইভাবে মরতে না হয়।
১৫ বছরের অবিচার — আর না!