০৫:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফরিদপুরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০

ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালনের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে সংঘর্ষে জড়িয়েছে বিএনপির দুই পক্ষ। এতে বোয়ালমারী পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মিনহাজুর রহমান লিপনসহ (৫০) অন্তত ১০ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে। তাছাড়া কয়েকটি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়।

শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে বোয়ালমারী বাজারের অবদার মোড়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে তিনজনের নাম জানা গেছে।

তারা হলেন- পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মিনহাজুর রহমান লিপন (৫০), রফিকুল ইসলাম (৪৫) এবং লিয়াকত মোল্লা (৫০)।

সংঘর্ষের পর তাদের তিনজনকে বোয়ালমারী হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ফরিদপুর হাসপাতালে হস্তান্তর করা হয়েছে।

দলীয় সূত্র ও নেতাকর্মীদের সঙ্গে জানা গেছে, ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে পৃথকভাবে র‌্যালির আয়োজন করে বিএনপির দুই পক্ষ। ওই র‌্যালি শেষে ফেরার পথে বিএনপির সাবেক এমপি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম এবং উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনুর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এতে অন্তত ১০ জন আহত হন। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছুটে আসে পুলিশ। পরে পুলিশের প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বলেন, দুপক্ষের আলাদা আলাদা কর্মসূচি ছিল। একপক্ষ সকালে এবং অন্যপক্ষ বিকেলে র‌্যালি করার কথা ছিল। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করছিলাম। ঝুনুর লোকজন পরিকল্পিতভাবে এ হামলা করেছে।

এ বিষয়ে জানতে চেয়ে যোগাযোগ করা হলে শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনুর বক্তব্য জানা যায়নি। তবে তার অনুসারী হিসেবে পরিচিত স্থানীয় বিএনপি নেতা জাকির চৌধুরী বলেন, র‌্যালি শেষ করে অফিসে অবস্থান আমরা করছিলাম। এসময় নাসিরুল ইসলামের লোকজন এ হামলা চালায়। এ হামলার সুষ্ঠু বিচার চাই।

বোয়ালমারী থানার ওসি মাহমুদুল হাসান বলেন, র‌্যালি শেষে ফেরার পথে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। সংঘর্ষের খবর পেয়ে ফোর্স পাঠানো হয়েছে। এখন পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

ফরিদপুরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০

ফরিদপুরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০

সর্বশেষ আপডেট : ১১:০২:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫

ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালনের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে সংঘর্ষে জড়িয়েছে বিএনপির দুই পক্ষ। এতে বোয়ালমারী পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মিনহাজুর রহমান লিপনসহ (৫০) অন্তত ১০ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে। তাছাড়া কয়েকটি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়।

শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে বোয়ালমারী বাজারের অবদার মোড়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে তিনজনের নাম জানা গেছে।

তারা হলেন- পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মিনহাজুর রহমান লিপন (৫০), রফিকুল ইসলাম (৪৫) এবং লিয়াকত মোল্লা (৫০)।

সংঘর্ষের পর তাদের তিনজনকে বোয়ালমারী হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ফরিদপুর হাসপাতালে হস্তান্তর করা হয়েছে।

দলীয় সূত্র ও নেতাকর্মীদের সঙ্গে জানা গেছে, ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে পৃথকভাবে র‌্যালির আয়োজন করে বিএনপির দুই পক্ষ। ওই র‌্যালি শেষে ফেরার পথে বিএনপির সাবেক এমপি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম এবং উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনুর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এতে অন্তত ১০ জন আহত হন। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছুটে আসে পুলিশ। পরে পুলিশের প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বলেন, দুপক্ষের আলাদা আলাদা কর্মসূচি ছিল। একপক্ষ সকালে এবং অন্যপক্ষ বিকেলে র‌্যালি করার কথা ছিল। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করছিলাম। ঝুনুর লোকজন পরিকল্পিতভাবে এ হামলা করেছে।

এ বিষয়ে জানতে চেয়ে যোগাযোগ করা হলে শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনুর বক্তব্য জানা যায়নি। তবে তার অনুসারী হিসেবে পরিচিত স্থানীয় বিএনপি নেতা জাকির চৌধুরী বলেন, র‌্যালি শেষ করে অফিসে অবস্থান আমরা করছিলাম। এসময় নাসিরুল ইসলামের লোকজন এ হামলা চালায়। এ হামলার সুষ্ঠু বিচার চাই।

বোয়ালমারী থানার ওসি মাহমুদুল হাসান বলেন, র‌্যালি শেষে ফেরার পথে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। সংঘর্ষের খবর পেয়ে ফোর্স পাঠানো হয়েছে। এখন পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।