০৭:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিরিজ জিততে ১১৮ রান প্রয়োজন বাংলাদেশের

তিন ম্যাচের টি২০ সিরিজের শেষটি হয়ে উঠেছে অলিখিত ফাইনাল। আজ মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) একাদশে তিন পরিবর্তন নিয়ে আয়ারল্যান্ডের মুখোমুখি হয় স্বাগতিক বাংলাদেশ দল। টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেওয়া আইরিশরা শুরুটা করে দারুণ। দ্রুতই ঘুরে দাঁড়ান বাংলাদেশের বোলাররা।

চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে বেশিদূর যেতে পারেনি আইরিশরা। ১৯.৫ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১১৭ রান তুলেছে দলটি। টি২০ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি জিততে লিটন কুমার দাসের দলকে করতে হবে ১১৮ রান।

আগের দুই ম্যাচের মত এদিনও ঝড়ো শুরু আভাস দিয়েছিলো আয়ারল্যান্ড, তবে দ্রুতই তাদের রাশ টেনে ধরে বাংলাদেশ। দিনের আলোয় কিছুটা মন্থর উইকেটে এক ম্যাচ বিরতি দিয়ে একাদশে ফেরা রিশাদ হোসেন দেখান মুন্সিয়ানা। আইরিশদের চেপে ধরে কাটারে বিপর্যস্ত করেন মোস্তাফিজুর রহমানও।

মঙ্গলবার চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং বেছে কেবল ১১৭ রান করেছে আয়ারল্যান্ড। প্রতিপক্ষকে অল্প রানে আটকে দলের সফল বোলার মোস্তাফিজ, ৩ ওভারে মাত্র ১১ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন তিনি। লেগ স্পিনার রিশাদ ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে পান ৩ উইকেট।

এদিনও টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু পায় আয়ারল্যান্ড, তবে আগের দুই ম্যাচের মত উড়তে পারেনি তারা। চতুর্থ ওভারে ১০ বলে ১৭ করে বোল্ড হয়ে যান টিম টেক্টর। তার বড় ভাই হ্যারি টেক্টর থিতু হতে পারেননি। ৬ বলে ৫ রান করে মোস্তাফিজুর রহমানের বলে দুর্ভাগ্যের শিকার তিনি।

প্রথম বলটি ঠেকিয়ে দিলেও তা এক বাউন্সে গিয়ে আঘাত হাতে স্টাম্পে। লোরকান টাকার, কার্টিস ক্যাম্পার দুজনেই ব্যর্থ। টাকার ফেরেন শেখ মেহেদীর শিকার হয়ে, ক্যাম্পারকে গুগলিতে বোল্ড করেন রিশাদ হোসেন। ৬৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় সফরকারী দল।

আইরিশদের ভরসা ছিলেন স্টার্লিং। তিনিই বাড়াচ্ছিলেন দলের রান। তবে লম্বা হয়নি তার ইনিংস। ২৭ বলে ৫ চার ১ ছয়ে ৩৮ রান করে স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক। নিজের শেষ ওভারে গ্যারেথ ডেলানিকেও তুলে নেন রিশাদ। ১৮তম ওভারে এসে মোস্তাফি পর পর তুলে নেন মার্ক অ্যাডাইয়ার ও ম্যাথু হ্যামফ্রিসকে। শেষ ওভারে বেন হোয়াইটকে ছেঁটে ইনিংস মুড়ে দেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন।

আর এই ম্যাচে পাঁচটি ক্যাচ ধরেন তানজিদ। আন্তর্জাতিক টি২০তে এক ইনিংসে যৌথভাবে সর্বোচ্চ ক্যাচের রেকর্ড এটি। বাংলাদেশের পক্ষে ৪ ওভারে ২১ রানে ৩ উইকেট নেন রিশাদ। মুস্তাফিজ ছিলেন আরও বিধ্বংসী। ৩ ওভারে ১১ রানে ৩টি শিকার মুস্তাফিজের। ৩ ওভারে ২১ রানে শরিফুন পান ২ উইকেট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

আয়ারল্যান্ড : ১৯.৫ ওভারে ১১৭/১০ (স্টার্লিং ৩৮, টেক্টর ১৭, হ্যারি ৫, টাকার ১, ক্যাম্ফার ৯, ডকরেল ১৯, ডিলানি ১০, আডাইর ৮, হামফ্রিস ১, ইয়ং ২*, হোয়াইট ৫; মেহেদী ৪-০-২৪-১, শরিফুল ৩-০-২১-২, সাইফউদ্দিন ৩.৫-০৩১-১, মুস্তাফিজ ৩-০-১১-৩, রিশাদ ৪-০-২১-৩, সাইফ ২-০-৮-০)

সিরিজ জিততে ১১৮ রান প্রয়োজন বাংলাদেশের

সিরিজ জিততে ১১৮ রান প্রয়োজন বাংলাদেশের

সর্বশেষ আপডেট : ০৬:১৬:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৫

তিন ম্যাচের টি২০ সিরিজের শেষটি হয়ে উঠেছে অলিখিত ফাইনাল। আজ মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) একাদশে তিন পরিবর্তন নিয়ে আয়ারল্যান্ডের মুখোমুখি হয় স্বাগতিক বাংলাদেশ দল। টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেওয়া আইরিশরা শুরুটা করে দারুণ। দ্রুতই ঘুরে দাঁড়ান বাংলাদেশের বোলাররা।

চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে বেশিদূর যেতে পারেনি আইরিশরা। ১৯.৫ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১১৭ রান তুলেছে দলটি। টি২০ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি জিততে লিটন কুমার দাসের দলকে করতে হবে ১১৮ রান।

আগের দুই ম্যাচের মত এদিনও ঝড়ো শুরু আভাস দিয়েছিলো আয়ারল্যান্ড, তবে দ্রুতই তাদের রাশ টেনে ধরে বাংলাদেশ। দিনের আলোয় কিছুটা মন্থর উইকেটে এক ম্যাচ বিরতি দিয়ে একাদশে ফেরা রিশাদ হোসেন দেখান মুন্সিয়ানা। আইরিশদের চেপে ধরে কাটারে বিপর্যস্ত করেন মোস্তাফিজুর রহমানও।

মঙ্গলবার চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং বেছে কেবল ১১৭ রান করেছে আয়ারল্যান্ড। প্রতিপক্ষকে অল্প রানে আটকে দলের সফল বোলার মোস্তাফিজ, ৩ ওভারে মাত্র ১১ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন তিনি। লেগ স্পিনার রিশাদ ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে পান ৩ উইকেট।

এদিনও টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু পায় আয়ারল্যান্ড, তবে আগের দুই ম্যাচের মত উড়তে পারেনি তারা। চতুর্থ ওভারে ১০ বলে ১৭ করে বোল্ড হয়ে যান টিম টেক্টর। তার বড় ভাই হ্যারি টেক্টর থিতু হতে পারেননি। ৬ বলে ৫ রান করে মোস্তাফিজুর রহমানের বলে দুর্ভাগ্যের শিকার তিনি।

প্রথম বলটি ঠেকিয়ে দিলেও তা এক বাউন্সে গিয়ে আঘাত হাতে স্টাম্পে। লোরকান টাকার, কার্টিস ক্যাম্পার দুজনেই ব্যর্থ। টাকার ফেরেন শেখ মেহেদীর শিকার হয়ে, ক্যাম্পারকে গুগলিতে বোল্ড করেন রিশাদ হোসেন। ৬৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় সফরকারী দল।

আইরিশদের ভরসা ছিলেন স্টার্লিং। তিনিই বাড়াচ্ছিলেন দলের রান। তবে লম্বা হয়নি তার ইনিংস। ২৭ বলে ৫ চার ১ ছয়ে ৩৮ রান করে স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক। নিজের শেষ ওভারে গ্যারেথ ডেলানিকেও তুলে নেন রিশাদ। ১৮তম ওভারে এসে মোস্তাফি পর পর তুলে নেন মার্ক অ্যাডাইয়ার ও ম্যাথু হ্যামফ্রিসকে। শেষ ওভারে বেন হোয়াইটকে ছেঁটে ইনিংস মুড়ে দেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন।

আর এই ম্যাচে পাঁচটি ক্যাচ ধরেন তানজিদ। আন্তর্জাতিক টি২০তে এক ইনিংসে যৌথভাবে সর্বোচ্চ ক্যাচের রেকর্ড এটি। বাংলাদেশের পক্ষে ৪ ওভারে ২১ রানে ৩ উইকেট নেন রিশাদ। মুস্তাফিজ ছিলেন আরও বিধ্বংসী। ৩ ওভারে ১১ রানে ৩টি শিকার মুস্তাফিজের। ৩ ওভারে ২১ রানে শরিফুন পান ২ উইকেট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

আয়ারল্যান্ড : ১৯.৫ ওভারে ১১৭/১০ (স্টার্লিং ৩৮, টেক্টর ১৭, হ্যারি ৫, টাকার ১, ক্যাম্ফার ৯, ডকরেল ১৯, ডিলানি ১০, আডাইর ৮, হামফ্রিস ১, ইয়ং ২*, হোয়াইট ৫; মেহেদী ৪-০-২৪-১, শরিফুল ৩-০-২১-২, সাইফউদ্দিন ৩.৫-০৩১-১, মুস্তাফিজ ৩-০-১১-৩, রিশাদ ৪-০-২১-৩, সাইফ ২-০-৮-০)