০৩:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ময়মনসিংহ নগরীর জয়নুল উদ্যানের অবহেলিত বধ্যভূমিতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ হবে কবে

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি :

মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বর্বরতার সাক্ষী হিসেবে দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য বধ্যভূমি। ময়মনসিংহ নগরীর সার্কিট হাউজ মাঠ সংলগ্ন পার্কে ব্যাটবল চত্বরের নিকটে তেমনি একটি বধ্যভূমি আজও অবহেলিত অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে।স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরেও সংরক্ষিত হয়নি। স্থানীয় সমাজ রূপান্তর সাংস্কৃতিক সংঘ মানববন্ধন, স্মারকলিপি প্রদান, সাংস্কৃতিক আয়োজন, প্রচারণা, বিভিন্ন দফতরে ছুটাছুটি করে বধ্যভূমিটি সংরক্ষণের নিমিত্তে নানাভাবে সক্রিয় রয়েছে। কিন্তু দাপ্তরিক ধীরগতির কারণে অদ্যাবধি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ কাজ শুরু হয়নি।

জানা যায়, বধ্যভূমিটি সংরক্ষণের দাবীতে সমাজ রূপান্তর সাংস্কৃতিক সংঘ মহান বিজয় দিবস ২০২০’এ বধ্যভূমিস্থলে মানববন্ধন করে এবং ০৫ জানুয়ারি ২০২১ জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় কর্তৃক ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখের স্মারকমূলে বধ্যভূমিটি সংরক্ষণের বিষয়ে সরেজমিনে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সদর ইউএনও’কে নির্দেশ প্রদান করলে ইউএনও ০৫ আগস্ট ২০২১ তারিখের স্মারকমূলে সহকারী কমিশনার (ভূমি), সদর’কে সরেজমিনে তদন্তপূর্বক মতামতসহ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য অনুরোধ করে।

পরবর্তিতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর নিকট হতে প্রাপ্ত প্রতিবেদনটি ইউএনও ১২ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখের স্মারকমূলে জেলা প্রশাসকের নিকট প্রেরণ করলে জেলা প্রশাসক কর্তৃক ১৭ জানুয়ারি ২০২২ তারিখের স্মারকমূলে চলমান “১৯৭১ এ মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী কর্তৃক গণহত্যার জন্য ব্যবহ্নত বধ্যভূমিসমূহ সংরক্ষণ ও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ (২য় পর্যায়)” শীর্ষক প্রকল্পে প্রকল্পভূক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্রসহ প্রতিবেদন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়। প্রতিবেদন ও নথিপত্র প্রাপ্তির পর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা শাখা-২ কর্তৃক ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখের স্মারকমূলে মন্ত্রণালয়ের চলমান প্রকল্পে প্রকল্পভূক্ত করার নিমিত্তে প্রকল্প পরিচালককে নির্দেশ প্রদান করা হয়। প্রকল্প পরিচালক ২০ মার্চ ২০২২ তারিখের স্বারকমূলে বধ্যভূমিতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের লক্ষ্যে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ স্থানের স্কেচম্যাপসহ নির্মাণ কাজের প্রাক্কলিত ব্যয় বিবরণী প্রেরণের জন্য নির্বাহী প্রকৌশলী, ময়মনসিংহ’কে নির্দেশ প্রদান করেন। নির্বাহী প্রকৌশলী, ময়মনসিংহ ১৭ মে ২০২২ তারিখের স্মারকমূলে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের প্রাক্কলন ও নকশা প্রকল্প পরিচালকের নিকট প্রেরণ করে।
পরবর্তিতে প্রকল্প পরিচালক কর্তৃক ০৫ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখের স্মারকমূলে কিছু তথ্য সন্নিবেশ করত: পুনরায় প্রাক্কলন প্রেরণ করতে নির্দেশ প্রদান করা হয়। জেলা প্রশাসক কার্যালয় ০৫ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখের স্মারকমূলে স্কেচম্যাপ প্রেরণের জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি), সদর’কে নির্দেশ প্রদান করা হলে সহকারী কমিশনার (ভূমি)কর্তৃক ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখের স্মারকমূলে তফসিলসহ স্কেচম্যাপ জেলা প্রশাসকের নিকট প্রেরণ করে। অপরদিকে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, ময়মনসিংহ গণপূর্ত সার্কেল ১০ এপ্রিল ২০২৩ তারিখের স্মারকমূলে ৯৯ লক্ষ ৫ হাজার ৭৭ টাকার সংশোধিত প্রাক্কলন জেলা প্রশাসকের নিকট প্রেরণ করে। পরবর্তিতে জেলা প্রশাসক ১৩ এপ্রিল ২০২৩ তারিখের স্মারকমূলে স্কেচম্যাপ ও সংশোধিত প্রাক্কলন প্রকল্প পরিচালকের নিকট প্রেরণ করেন।

দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও কোন কার্যক্রম দৃশ্যমান না হওয়ায় সমাজ রূপান্তর সাংস্কৃতিক সংঘ ৩১ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মাননীয় মন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে। উক্ত স্মারকলিপি জেলা প্রশাসক ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখের স্মারকমূলে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেন। পরবর্তিতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক ২৯ এপ্রিল ২০২৪ তারিখের স্বারকমূলে বধ্যভূমিতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের লক্ষ্যে সাইটটি প্রকল্পের সংশোধিত ডিপিপি’তে অন্তর্ভূক্ত করার নিমিত্ত তালিকাভূক্ত করা হয়েছে বলে জানানো হয়।

এই বধ্যভূমিটি সংরক্ষণের দাবীতে দীর্ঘদিন যাবত সোচ্চার সমাজ রূপান্তর সাংস্কৃতিক সংঘের সভাপতি ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ময়মনসিংহ অঞ্চলে মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতাকামী বাঙালী জাতির সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের ইতিহাস এবং পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর আলবদর, আলশামস, রাজাকারদের বর্বরতা আগামী প্রজন্মের কাছে দৃশ্যমান করা অতীব জরুরী। আমরা মহান বিজয় দিবস ২০২০ হতে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন এবং মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে ছুটাছুটি করলেও দাপ্তরিক দীর্ঘসূত্রিতার কারণে আজও এই অরক্ষিত বধ্যভূমিতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের লক্ষ্যে মন্ত্রণালয় কর্তৃক চূড়ান্ত পদক্ষেপ গ্রহণ পরিলক্ষিত হয়নি। একটি অবহেলিত বধ্যভূমি সংরক্ষণে এই দীর্ঘসূত্রিতা কখনও কাম্য হতে পারে না। আমরা বধ্যভূমিতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের কার্যক্রম গতিশীল করার জন্য জোর দাবী জানাই। দৃশ্যমান হোক মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। প্রজন্ম যেন জানতে পারে তার পূর্বপূরুষদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের ইতিহাস।

জনপ্রিয় খবর

নওগাঁতে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য সহ ২জন আটক

ময়মনসিংহ নগরীর জয়নুল উদ্যানের অবহেলিত বধ্যভূমিতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ হবে কবে

সর্বশেষ আপডেট : ০৫:২১:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি :

মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বর্বরতার সাক্ষী হিসেবে দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য বধ্যভূমি। ময়মনসিংহ নগরীর সার্কিট হাউজ মাঠ সংলগ্ন পার্কে ব্যাটবল চত্বরের নিকটে তেমনি একটি বধ্যভূমি আজও অবহেলিত অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে।স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরেও সংরক্ষিত হয়নি। স্থানীয় সমাজ রূপান্তর সাংস্কৃতিক সংঘ মানববন্ধন, স্মারকলিপি প্রদান, সাংস্কৃতিক আয়োজন, প্রচারণা, বিভিন্ন দফতরে ছুটাছুটি করে বধ্যভূমিটি সংরক্ষণের নিমিত্তে নানাভাবে সক্রিয় রয়েছে। কিন্তু দাপ্তরিক ধীরগতির কারণে অদ্যাবধি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ কাজ শুরু হয়নি।

জানা যায়, বধ্যভূমিটি সংরক্ষণের দাবীতে সমাজ রূপান্তর সাংস্কৃতিক সংঘ মহান বিজয় দিবস ২০২০’এ বধ্যভূমিস্থলে মানববন্ধন করে এবং ০৫ জানুয়ারি ২০২১ জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় কর্তৃক ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখের স্মারকমূলে বধ্যভূমিটি সংরক্ষণের বিষয়ে সরেজমিনে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সদর ইউএনও’কে নির্দেশ প্রদান করলে ইউএনও ০৫ আগস্ট ২০২১ তারিখের স্মারকমূলে সহকারী কমিশনার (ভূমি), সদর’কে সরেজমিনে তদন্তপূর্বক মতামতসহ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য অনুরোধ করে।

পরবর্তিতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর নিকট হতে প্রাপ্ত প্রতিবেদনটি ইউএনও ১২ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখের স্মারকমূলে জেলা প্রশাসকের নিকট প্রেরণ করলে জেলা প্রশাসক কর্তৃক ১৭ জানুয়ারি ২০২২ তারিখের স্মারকমূলে চলমান “১৯৭১ এ মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী কর্তৃক গণহত্যার জন্য ব্যবহ্নত বধ্যভূমিসমূহ সংরক্ষণ ও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ (২য় পর্যায়)” শীর্ষক প্রকল্পে প্রকল্পভূক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্রসহ প্রতিবেদন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়। প্রতিবেদন ও নথিপত্র প্রাপ্তির পর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা শাখা-২ কর্তৃক ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখের স্মারকমূলে মন্ত্রণালয়ের চলমান প্রকল্পে প্রকল্পভূক্ত করার নিমিত্তে প্রকল্প পরিচালককে নির্দেশ প্রদান করা হয়। প্রকল্প পরিচালক ২০ মার্চ ২০২২ তারিখের স্বারকমূলে বধ্যভূমিতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের লক্ষ্যে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ স্থানের স্কেচম্যাপসহ নির্মাণ কাজের প্রাক্কলিত ব্যয় বিবরণী প্রেরণের জন্য নির্বাহী প্রকৌশলী, ময়মনসিংহ’কে নির্দেশ প্রদান করেন। নির্বাহী প্রকৌশলী, ময়মনসিংহ ১৭ মে ২০২২ তারিখের স্মারকমূলে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের প্রাক্কলন ও নকশা প্রকল্প পরিচালকের নিকট প্রেরণ করে।
পরবর্তিতে প্রকল্প পরিচালক কর্তৃক ০৫ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখের স্মারকমূলে কিছু তথ্য সন্নিবেশ করত: পুনরায় প্রাক্কলন প্রেরণ করতে নির্দেশ প্রদান করা হয়। জেলা প্রশাসক কার্যালয় ০৫ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখের স্মারকমূলে স্কেচম্যাপ প্রেরণের জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি), সদর’কে নির্দেশ প্রদান করা হলে সহকারী কমিশনার (ভূমি)কর্তৃক ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখের স্মারকমূলে তফসিলসহ স্কেচম্যাপ জেলা প্রশাসকের নিকট প্রেরণ করে। অপরদিকে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, ময়মনসিংহ গণপূর্ত সার্কেল ১০ এপ্রিল ২০২৩ তারিখের স্মারকমূলে ৯৯ লক্ষ ৫ হাজার ৭৭ টাকার সংশোধিত প্রাক্কলন জেলা প্রশাসকের নিকট প্রেরণ করে। পরবর্তিতে জেলা প্রশাসক ১৩ এপ্রিল ২০২৩ তারিখের স্মারকমূলে স্কেচম্যাপ ও সংশোধিত প্রাক্কলন প্রকল্প পরিচালকের নিকট প্রেরণ করেন।

দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও কোন কার্যক্রম দৃশ্যমান না হওয়ায় সমাজ রূপান্তর সাংস্কৃতিক সংঘ ৩১ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মাননীয় মন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে। উক্ত স্মারকলিপি জেলা প্রশাসক ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখের স্মারকমূলে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেন। পরবর্তিতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক ২৯ এপ্রিল ২০২৪ তারিখের স্বারকমূলে বধ্যভূমিতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের লক্ষ্যে সাইটটি প্রকল্পের সংশোধিত ডিপিপি’তে অন্তর্ভূক্ত করার নিমিত্ত তালিকাভূক্ত করা হয়েছে বলে জানানো হয়।

এই বধ্যভূমিটি সংরক্ষণের দাবীতে দীর্ঘদিন যাবত সোচ্চার সমাজ রূপান্তর সাংস্কৃতিক সংঘের সভাপতি ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ময়মনসিংহ অঞ্চলে মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতাকামী বাঙালী জাতির সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের ইতিহাস এবং পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর আলবদর, আলশামস, রাজাকারদের বর্বরতা আগামী প্রজন্মের কাছে দৃশ্যমান করা অতীব জরুরী। আমরা মহান বিজয় দিবস ২০২০ হতে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন এবং মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে ছুটাছুটি করলেও দাপ্তরিক দীর্ঘসূত্রিতার কারণে আজও এই অরক্ষিত বধ্যভূমিতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের লক্ষ্যে মন্ত্রণালয় কর্তৃক চূড়ান্ত পদক্ষেপ গ্রহণ পরিলক্ষিত হয়নি। একটি অবহেলিত বধ্যভূমি সংরক্ষণে এই দীর্ঘসূত্রিতা কখনও কাম্য হতে পারে না। আমরা বধ্যভূমিতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের কার্যক্রম গতিশীল করার জন্য জোর দাবী জানাই। দৃশ্যমান হোক মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। প্রজন্ম যেন জানতে পারে তার পূর্বপূরুষদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের ইতিহাস।