০২:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ময়মনসিংহ-৪ সদর আসনে জেএসডির মনোনয়ন পেলেন সাইফুল ইসলাম ফকির

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি :

“আগে দেশ, আগে মেহনতি মানুষ—তারপর দল” : নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে অসাম্প্রদায়িক ও সাম্যের ময়মনসিংহ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)-এর মনোনয়ন পেয়েছেন চরাঞ্চলের জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা ও সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ফয়জুর রহমান ফকিরের ছোট ভাই সাইফুল ইসলাম ফকির। জেএসডির ‘তারা মার্কা’ প্রতীক নিয়ে তিনি আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
সাইফুল ইসলাম ফকির বর্তমানে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)-এর কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক এবং ময়মনসিংহ জেলা জেএসডির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এক্স-স্টুডেন্ট ক্লাব, ময়মনসিংহ অঞ্চলের সভাপতি। পেশাগত জীবনে তিনি একজন প্রাক্তন ব্যাংকার এবং বর্তমানে সফল ব্যবসায়ী।
চট্টগ্রাম থেকে ময়মনসিংহ—নাড়ীর টানে ফিরে আসা
জন্ম, শিক্ষা ও চাকরি জীবন চট্টগ্রামে কাটালেও নাড়ীর টানে ২০১০ সালে তিনি নিজ জন্মভূমি ময়মনসিংহ সদরের রশিদপুর, শম্ভুগঞ্জে স্থায়ীভাবে ফিরে আসেন। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি জাসদ ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধ ও জাসদ রাজনীতিতে পারিবারিক ঐতিহ্য
সাইফুল ইসলাম ফকিরের পরিবার রাজনৈতিক ও মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় ইতিহাসে সমৃদ্ধ। পরিবারের ৩ ভাই ও ১ বোন স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। তার মেঝ ভাই ডা. মাহফুজুর রহমান এবং বড় ভাই ফয়জুর রহমান ফকির মহান মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। স্বাধীনতার পর পরিবারের সকল ভাই জাসদ রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হন।
নির্বাচনী অঙ্গীকার: সাম্যের বাংলাদেশ, অসাম্প্রদায়িক ময়মনসিংহ
মনোনয়ন পাওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় সাইফুল ইসলাম ফকির বলেন,
“আমি এবং আমার দলের অঙ্গীকার আগে দেশ, আগে সাধারণ মেহনতি মানুষ, তারপর দল। আমি বিশ্বাস করি, যদি ময়মনসিংহের মানুষ স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের মতো মৌলিক অধিকার নিশ্চিত পায়, তবে এই আসনের প্রকৃত স্বজন হবে সাধারণ মানুষই, আর সে দলই হবে জনগণের দল।”
তিনি আরও বলেন,
“একাত্তরের রক্তে কেনা এই বাংলাদেশ, জুলাইয়ের রক্তে কেনা এই বাংলাদেশে আর কোনো বৈষম্য, দলান্ধতা ও হীন চক্রান্তকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। আমরা গড়ে তুলতে চাই সাম্যের বাংলাদেশ, পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর ময়মনসিংহ—যেখানে শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিকশিত হবে।”
ময়মনসিংহ সদরের বাস্তব সংকট তুলে ধরলেন প্রার্থী
নিজ বক্তব্যে তিনি ময়মনসিংহ সদরের দীর্ঘদিনের সমস্যাগুলোর দিকেও আলোকপাত করেন। তিনি বলেন,
অপরিকল্পিত নগরায়নে শহর আজ সংকীর্ণ গলিতে বন্দী
১১টি রেলক্রসিংয়ে প্রতিনিয়ত ভয়াবহ যানজট
শিক্ষার নগরী থেকে বেরিয়ে আসা হাজারো শিক্ষার্থীর অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ
স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও কোনো শিল্প বা কর্মসংস্থান জোন গড়ে না ওঠা
চরাঞ্চলের কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য সংরক্ষণ ও ন্যায্য মূল্য না পাওয়া
তরুণ সমাজে মাদকাসক্তি নিয়ে অভিভাবকদের গভীর উদ্বেগ
তিনি বলেন,
“এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য প্রয়োজন আমূল পরিবর্তন। দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে সন্ত্রাস, মাদক, বেকারত্ব ও যানজটমুক্ত একটি শান্তিময় ও উন্নত ময়মনসিংহ সদর গড়ে তুলতে চাই।”
ভোটারদের প্রতি আহ্বান
শেষে সাইফুল ইসলাম ফকির ময়মনসিংহ-৪ সদর আসনের ভোটারদের উদ্দেশে বলেন,
“ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে ‘তারা মার্কা’য় ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করবেন—এই বিশ্বাস ও আস্থা আপনাদের ওপর রাখছি। আপনাদের দেওয়া আমানত ভোটের কোনো খেয়ানত হবে না, ইনশাআল্লাহ

জনপ্রিয় খবর

খালেআলমপুর জিয়া পরিষদ আয়োজনে ডাঃ আজিজ লায়েক এর ১৬ তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল

ময়মনসিংহ-৪ সদর আসনে জেএসডির মনোনয়ন পেলেন সাইফুল ইসলাম ফকির

সর্বশেষ আপডেট : ০১:৫৪:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি :

“আগে দেশ, আগে মেহনতি মানুষ—তারপর দল” : নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে অসাম্প্রদায়িক ও সাম্যের ময়মনসিংহ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)-এর মনোনয়ন পেয়েছেন চরাঞ্চলের জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা ও সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ফয়জুর রহমান ফকিরের ছোট ভাই সাইফুল ইসলাম ফকির। জেএসডির ‘তারা মার্কা’ প্রতীক নিয়ে তিনি আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
সাইফুল ইসলাম ফকির বর্তমানে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)-এর কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক এবং ময়মনসিংহ জেলা জেএসডির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এক্স-স্টুডেন্ট ক্লাব, ময়মনসিংহ অঞ্চলের সভাপতি। পেশাগত জীবনে তিনি একজন প্রাক্তন ব্যাংকার এবং বর্তমানে সফল ব্যবসায়ী।
চট্টগ্রাম থেকে ময়মনসিংহ—নাড়ীর টানে ফিরে আসা
জন্ম, শিক্ষা ও চাকরি জীবন চট্টগ্রামে কাটালেও নাড়ীর টানে ২০১০ সালে তিনি নিজ জন্মভূমি ময়মনসিংহ সদরের রশিদপুর, শম্ভুগঞ্জে স্থায়ীভাবে ফিরে আসেন। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি জাসদ ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধ ও জাসদ রাজনীতিতে পারিবারিক ঐতিহ্য
সাইফুল ইসলাম ফকিরের পরিবার রাজনৈতিক ও মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় ইতিহাসে সমৃদ্ধ। পরিবারের ৩ ভাই ও ১ বোন স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। তার মেঝ ভাই ডা. মাহফুজুর রহমান এবং বড় ভাই ফয়জুর রহমান ফকির মহান মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। স্বাধীনতার পর পরিবারের সকল ভাই জাসদ রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হন।
নির্বাচনী অঙ্গীকার: সাম্যের বাংলাদেশ, অসাম্প্রদায়িক ময়মনসিংহ
মনোনয়ন পাওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় সাইফুল ইসলাম ফকির বলেন,
“আমি এবং আমার দলের অঙ্গীকার আগে দেশ, আগে সাধারণ মেহনতি মানুষ, তারপর দল। আমি বিশ্বাস করি, যদি ময়মনসিংহের মানুষ স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের মতো মৌলিক অধিকার নিশ্চিত পায়, তবে এই আসনের প্রকৃত স্বজন হবে সাধারণ মানুষই, আর সে দলই হবে জনগণের দল।”
তিনি আরও বলেন,
“একাত্তরের রক্তে কেনা এই বাংলাদেশ, জুলাইয়ের রক্তে কেনা এই বাংলাদেশে আর কোনো বৈষম্য, দলান্ধতা ও হীন চক্রান্তকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। আমরা গড়ে তুলতে চাই সাম্যের বাংলাদেশ, পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর ময়মনসিংহ—যেখানে শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিকশিত হবে।”
ময়মনসিংহ সদরের বাস্তব সংকট তুলে ধরলেন প্রার্থী
নিজ বক্তব্যে তিনি ময়মনসিংহ সদরের দীর্ঘদিনের সমস্যাগুলোর দিকেও আলোকপাত করেন। তিনি বলেন,
অপরিকল্পিত নগরায়নে শহর আজ সংকীর্ণ গলিতে বন্দী
১১টি রেলক্রসিংয়ে প্রতিনিয়ত ভয়াবহ যানজট
শিক্ষার নগরী থেকে বেরিয়ে আসা হাজারো শিক্ষার্থীর অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ
স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও কোনো শিল্প বা কর্মসংস্থান জোন গড়ে না ওঠা
চরাঞ্চলের কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য সংরক্ষণ ও ন্যায্য মূল্য না পাওয়া
তরুণ সমাজে মাদকাসক্তি নিয়ে অভিভাবকদের গভীর উদ্বেগ
তিনি বলেন,
“এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য প্রয়োজন আমূল পরিবর্তন। দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে সন্ত্রাস, মাদক, বেকারত্ব ও যানজটমুক্ত একটি শান্তিময় ও উন্নত ময়মনসিংহ সদর গড়ে তুলতে চাই।”
ভোটারদের প্রতি আহ্বান
শেষে সাইফুল ইসলাম ফকির ময়মনসিংহ-৪ সদর আসনের ভোটারদের উদ্দেশে বলেন,
“ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে ‘তারা মার্কা’য় ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করবেন—এই বিশ্বাস ও আস্থা আপনাদের ওপর রাখছি। আপনাদের দেওয়া আমানত ভোটের কোনো খেয়ানত হবে না, ইনশাআল্লাহ