রাজনৈতিক অঙ্গনে এখনো বিএনপি ক্ষমতায় আসেনি এমনই আলোচনায় যখন দেশব্যাপী সমালোচনা চলছে, তখন দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনা উদ্বেগ বাড়িয়েছে। গণতন্ত্রের অন্যতম স্তম্ভ গণমাধ্যমকে দমন করার অপচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে এই হামলাগুলোকে।
রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সংবাদ সংগ্রহে থাকা সাংবাদিকদের উপর হামলা, হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এর ফলে সাংবাদিক সমাজের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, তারা নিরপেক্ষভাবে সংবাদ পরিবেশন করতে গিয়ে হামলার শিকার হচ্ছেন। অনেক ক্ষেত্রে মোবাইল ফোন, ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হচ্ছে। এ বিষয়ে স্থানীয় থানায় একাধিক অভিযোগ দায়ের হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে দোষীরা শাস্তির বাইরে থেকে যাচ্ছে।
গণমাধ্যমকর্মীরা বলছেন, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সাংবাদিকরা যেন সহজ লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছেন। তারা দাবি করেছেন, এ ধরনের হামলার বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
অন্যদিকে সাধারণ মানুষ মনে করছেন, বিএনপি ক্ষমতায় আসতে না পারায় হতাশ হয়ে ভিন্ন পথে সাংবাদিকদের ভয় দেখানোর কৌশল নিয়েছে। এতে রাজনৈতিকভাবে যেমন দলটির ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তেমনি গণমাধ্যমের স্বাধীনতাও হুমকির মুখে পড়ছে।
সাংবাদিকের উপর হামলা গণতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতার জন্য বড় হুমকি। রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষা করা এবং সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা। বিএনপির প্রতি দাবি উঠেছে—তাদের নেতাকর্মীদের এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখা এবং দোষীদের বিচারের আওতায় আনা।