০৮:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিক্ষায় খেলাধুলা ও ‘হ্যাপিনেস কারিকুলাম’ আনতে চান আমিনুল হক

 

শিক্ষাব্যবস্থাকে বইমুখী পাঠের গণ্ডি থেকে বের করে খেলাধুলা ও সংস্কৃতিচর্চার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জন্য “হ্যাপিনেসভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম” চালুর উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক এবং ঢাকা-১৬ আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আমিনুল হক।

গতকাল রোববার রাজধানীর পল্লবীর আদর্শ শিক্ষা নিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং নতুন একাডেমিক ভবন উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে আমিনুল হক বলেন, “আমাদের বাচ্চারা শুধু পড়াশোনায় সীমাবদ্ধ থাকবে—এটা আমরা চাই না। খেলাধুলার সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে নতুন ধারার শিক্ষা সামনে আনতে চাই।”

তিনি বলেন, শিক্ষার মান উন্নয়নে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে অবকাঠামো ও সুযোগ–সুবিধা বাড়ানো হবে। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে “আন্তরিকতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ” গড়ে তোলার ওপরও তিনি জোর দেন।

শিক্ষকতার পেশায় আগ্রহ কমে যাওয়ার প্রসঙ্গ তুলে আমিনুল হক বলেন, “অনেকে অন্যান্য চাকরি না পেলে বাধ্য হয়ে শিক্ষকতায় আসেন। আমরা চাই শিক্ষকতার পেশা হবে সম্মানজনক ও আকর্ষণীয়।” তিনি জানান, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এ বিষয়ে নতুন কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। শিগগিরই তা প্রকাশ করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

কৃষি ও সামাজিক সুরক্ষা খাতে কার্ডভিত্তিক সেবা চালুর পরিকল্পনার কথা জানিয়ে আমিনুল হক বলেন, “আমি পরিবর্তনের কথা বলতে চাই। আগামী বাংলাদেশে কৃষকদের জন্য কৃষক কার্ড হাতে হাতে পৌঁছে দিতে চাই।” তাঁর দাবি, এই কার্ডের মাধ্যমে কৃষকরা বীজ, উৎপাদন সহায়তা এবং ন্যায্য মূল্য পাওয়ার নিশ্চয়তা পাবেন।

এছাড়া দেশের প্রতিটি পরিবারের জন্য ‘ফ্যামিলি কার্ড’ চালুর উদ্যোগের কথাও তুলে ধরেন তিনি। আমিনুল হক বলেন, এই কার্ডের মাধ্যমে প্রতিমাসে চাল–ডালসহ জীবনযাপনের মৌলিক চাহিদা বিনা মূল্যে পাওয়ার সুযোগ থাকবে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবার তথ্য ও সুবিধাও কার্ডে সংযুক্ত থাকবে বলে তিনি জানান।

স্বৈরাচারের সমালোচনা করে আমিনুল হক বলেন, “গত ১৭ বছরে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দলীয়করণ করা হয়েছে।”
তিনি ঘোষণা দিয়ে বলেন, “আসন্ন নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে পরিচালিত হবে। কোনো রাজনৈতিক প্রভাব রাখা হবে না।”

জনপ্রিয় খবর

শিক্ষায় খেলাধুলা ও ‘হ্যাপিনেস কারিকুলাম’ আনতে চান আমিনুল হক

শিক্ষায় খেলাধুলা ও ‘হ্যাপিনেস কারিকুলাম’ আনতে চান আমিনুল হক

সর্বশেষ আপডেট : ১১:২৯:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫

 

শিক্ষাব্যবস্থাকে বইমুখী পাঠের গণ্ডি থেকে বের করে খেলাধুলা ও সংস্কৃতিচর্চার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জন্য “হ্যাপিনেসভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম” চালুর উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক এবং ঢাকা-১৬ আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আমিনুল হক।

গতকাল রোববার রাজধানীর পল্লবীর আদর্শ শিক্ষা নিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং নতুন একাডেমিক ভবন উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে আমিনুল হক বলেন, “আমাদের বাচ্চারা শুধু পড়াশোনায় সীমাবদ্ধ থাকবে—এটা আমরা চাই না। খেলাধুলার সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে নতুন ধারার শিক্ষা সামনে আনতে চাই।”

তিনি বলেন, শিক্ষার মান উন্নয়নে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে অবকাঠামো ও সুযোগ–সুবিধা বাড়ানো হবে। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে “আন্তরিকতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ” গড়ে তোলার ওপরও তিনি জোর দেন।

শিক্ষকতার পেশায় আগ্রহ কমে যাওয়ার প্রসঙ্গ তুলে আমিনুল হক বলেন, “অনেকে অন্যান্য চাকরি না পেলে বাধ্য হয়ে শিক্ষকতায় আসেন। আমরা চাই শিক্ষকতার পেশা হবে সম্মানজনক ও আকর্ষণীয়।” তিনি জানান, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এ বিষয়ে নতুন কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। শিগগিরই তা প্রকাশ করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

কৃষি ও সামাজিক সুরক্ষা খাতে কার্ডভিত্তিক সেবা চালুর পরিকল্পনার কথা জানিয়ে আমিনুল হক বলেন, “আমি পরিবর্তনের কথা বলতে চাই। আগামী বাংলাদেশে কৃষকদের জন্য কৃষক কার্ড হাতে হাতে পৌঁছে দিতে চাই।” তাঁর দাবি, এই কার্ডের মাধ্যমে কৃষকরা বীজ, উৎপাদন সহায়তা এবং ন্যায্য মূল্য পাওয়ার নিশ্চয়তা পাবেন।

এছাড়া দেশের প্রতিটি পরিবারের জন্য ‘ফ্যামিলি কার্ড’ চালুর উদ্যোগের কথাও তুলে ধরেন তিনি। আমিনুল হক বলেন, এই কার্ডের মাধ্যমে প্রতিমাসে চাল–ডালসহ জীবনযাপনের মৌলিক চাহিদা বিনা মূল্যে পাওয়ার সুযোগ থাকবে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবার তথ্য ও সুবিধাও কার্ডে সংযুক্ত থাকবে বলে তিনি জানান।

স্বৈরাচারের সমালোচনা করে আমিনুল হক বলেন, “গত ১৭ বছরে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দলীয়করণ করা হয়েছে।”
তিনি ঘোষণা দিয়ে বলেন, “আসন্ন নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে পরিচালিত হবে। কোনো রাজনৈতিক প্রভাব রাখা হবে না।”