১২:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০১ জানুয়ারী ২০২৬, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভালুকায় পোশাক কারখানায় আনসার সদস্যের গুলিতে সহকর্মী নিহত

মারুফ হোসেন :

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় একটি পোশাক কারখানায় দায়িত্ব পালনকালে এক আনসার সদস্যের গুলিতে আরেক আনসার সদস্য নিহত হয়েছেন। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)২০২৫ ইং দুপুরে উপজেলার মেহরাবাড়ী এলাকায় লাবিব গ্রুপের মালিকানাধীন সুলতানা সুয়েটার্স লিমিটেড কারখানায় মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটে।
নিহত আনসার সদস্যের নাম বজেন্দ্র বিশ্বাস (৩৫)। তিনি সিলেট সদর উপজেলার কাদিরপুর গ্রামের প্রবিত্র বিশ্বাসের ছেলে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আনসার সদস্য নোমান মিয়া (৩২)-কে ভালুকা থানার
সেকেন্ড অফিসার তাহের,এসাই গোবিন্দ দাস ,এসাই মোশাররফ সহ পুলিশের একটি
দক্ষ টিম তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তার করেছে। আসামি সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর থানার বালুটুরি বাজার এলাকার লুৎফর রহমানের ছেলে।
পুলিশ ও কারখানা সূত্রে জানা যায়, সুলতানা সুয়েটার্স লিমিটেড কারখানায় মোট ২০ জন আনসার সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। ঘটনার সময় আনসার সদস্য নোমান মিয়া ও বজেন্দ্র বিশ্বাস একসঙ্গে বসে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এ সময় নোমান মিয়ার হাতে থাকা সরকারি শটগান থেকে অসাবধানতাবশত গুলি বের হয়ে যায়।
গুলি সরাসরি বজেন্দ্র বিশ্বাসের বাম উরুতে আঘাত করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন এবং ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন।
হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মৃত্যু
সহকর্মী আনসার সদস্য ও কারখানার কর্মচারীরা দ্রুত আহত বজেন্দ্র বিশ্বাসকে উদ্ধার করে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তবে সেখানে পৌঁছানোর পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হঠাৎ এই ঘটনায় কারখানা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। নিরাপত্তাজনিত কারণে কিছু সময়ের জন্য কারখানার কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়।
পুলিশ ও প্রশাসনের বক্তব্য :
ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জাহিদুল ইসলাম জানান,
“ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত আনসার সদস্য নোমান মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে।”
তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি অসাবধানতাজনিত দুর্ঘটনা বলে ধারণা করা হলেও তদন্ত শেষে প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত অস্ত্রটি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। নিহতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে আইনানুগ সহায়তার বিষয়টিও বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে সহকর্মীর এমন আকস্মিক মৃত্যুতে শোকাহত আনসার সদস্য ও কারখানার শ্রমিকরা। তারা দ্রুত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীর যথাযথ বিচার দাবি করেছেন।

জনপ্রিয় খবর

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের বদলপুর এলাকায় গাছের সাথে ধাক্কা লেগে সিএনজির চালকসহ ৫ জন আহত

ভালুকায় পোশাক কারখানায় আনসার সদস্যের গুলিতে সহকর্মী নিহত

সর্বশেষ আপডেট : ০৩:২৯:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫

মারুফ হোসেন :

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় একটি পোশাক কারখানায় দায়িত্ব পালনকালে এক আনসার সদস্যের গুলিতে আরেক আনসার সদস্য নিহত হয়েছেন। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)২০২৫ ইং দুপুরে উপজেলার মেহরাবাড়ী এলাকায় লাবিব গ্রুপের মালিকানাধীন সুলতানা সুয়েটার্স লিমিটেড কারখানায় মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটে।
নিহত আনসার সদস্যের নাম বজেন্দ্র বিশ্বাস (৩৫)। তিনি সিলেট সদর উপজেলার কাদিরপুর গ্রামের প্রবিত্র বিশ্বাসের ছেলে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আনসার সদস্য নোমান মিয়া (৩২)-কে ভালুকা থানার
সেকেন্ড অফিসার তাহের,এসাই গোবিন্দ দাস ,এসাই মোশাররফ সহ পুলিশের একটি
দক্ষ টিম তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তার করেছে। আসামি সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর থানার বালুটুরি বাজার এলাকার লুৎফর রহমানের ছেলে।
পুলিশ ও কারখানা সূত্রে জানা যায়, সুলতানা সুয়েটার্স লিমিটেড কারখানায় মোট ২০ জন আনসার সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। ঘটনার সময় আনসার সদস্য নোমান মিয়া ও বজেন্দ্র বিশ্বাস একসঙ্গে বসে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এ সময় নোমান মিয়ার হাতে থাকা সরকারি শটগান থেকে অসাবধানতাবশত গুলি বের হয়ে যায়।
গুলি সরাসরি বজেন্দ্র বিশ্বাসের বাম উরুতে আঘাত করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন এবং ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন।
হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মৃত্যু
সহকর্মী আনসার সদস্য ও কারখানার কর্মচারীরা দ্রুত আহত বজেন্দ্র বিশ্বাসকে উদ্ধার করে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তবে সেখানে পৌঁছানোর পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হঠাৎ এই ঘটনায় কারখানা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। নিরাপত্তাজনিত কারণে কিছু সময়ের জন্য কারখানার কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়।
পুলিশ ও প্রশাসনের বক্তব্য :
ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জাহিদুল ইসলাম জানান,
“ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত আনসার সদস্য নোমান মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে।”
তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি অসাবধানতাজনিত দুর্ঘটনা বলে ধারণা করা হলেও তদন্ত শেষে প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত অস্ত্রটি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। নিহতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে আইনানুগ সহায়তার বিষয়টিও বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে সহকর্মীর এমন আকস্মিক মৃত্যুতে শোকাহত আনসার সদস্য ও কারখানার শ্রমিকরা। তারা দ্রুত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীর যথাযথ বিচার দাবি করেছেন।